ধানমন্ডি ৩২: কেউ কাটছেন রড, কেউ সংগ্রহ করছেন লোহালক্কড়

ধানমন্ডি ৩২: কেউ কাটছেন রড, কেউ সংগ্রহ করছেন লোহালক্কড়

ধানমন্ডি ৩২: কেউ কাটছেন রড, কেউ সংগ্রহ করছেন লোহালক্কড়

ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ এলাকা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এখানে বিভিন্ন নির্মাণ ও পুনঃসংস্কারের কাজ চলছে, যেখানে কেউ রড কাটছেন, আবার কেউ পুরনো লোহালক্কড় সংগ্রহ করছেন। এই পরিবর্তন স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

নির্মাণ ও পুনঃসংস্কার: কী ঘটছে?

ধানমন্ডি ৩২ শুধু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নয়, বরং এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্যও পরিচিত। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্প ও সংস্কারকাজ চলছে, যার ফলে প্রচুর লোহালক্কড় ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু শ্রমিক পুরনো রড ও লোহা কাটার কাজে ব্যস্ত, আবার অন্যরা সেগুলো সংগ্রহ করে পুনর্ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।

কেন এই লোহালক্কড় সংগ্রহ?

১. পুনর্ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণ – পুরনো লোহা পুনঃব্যবহার করা পরিবেশবান্ধব এবং এটি বর্জ্য কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক।
2. ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য – অনেক ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পুরনো লোহা কিনে পুনঃপ্রক্রিয়া করে নতুনভাবে বাজারে বিক্রি করেন।
3. নির্মাণ শিল্পে চাহিদা – লোহার দাম দিন দিন বাড়ছে, তাই পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণ খরচ কমানো সম্ভব।

স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া

নির্মাণ ও পুনঃসংস্কার কাজে কিছুটা অস্থিরতা থাকলেও স্থানীয়রা এটি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। একদিকে, এলাকাটি আধুনিক ও উন্নত হচ্ছে, অন্যদিকে পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে, কিছু বাসিন্দা ধুলাবালি ও শব্দ দূষণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

শেষ কথা

ধানমন্ডি ৩২-এর এই পরিবর্তন সময়ের দাবি। পুরনো রড কাটার কাজ এবং লোহালক্কড় সংগ্রহের মাধ্যমে একদিকে পুনঃব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। এটি শুধু ধানমন্ডি নয়, বরং গোটা শহরের উন্নয়নেরই একটি অংশ। ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত নির্মাণ কাজে গুরুত্ব দেওয়া হলে সবার জন্যই তা উপকারী হবে।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post